দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পরেই একই তিথিতে উদযাপিত হয় কাত্যায়নী পূজা। মাগুরার শত বছরের এই ঐতিহ্যকে দেখতে জেলা শহরে ভিড় জমান লাখ লাখ মানুষ।
করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর সীমিত পরিসরে মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজায় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া অন্য সব আয়োজন হচ্ছে সীমিত আকারে।
পূজার সঙ্গে চলে মাসব্যাপী মেলা। করোনার কারণে মেলার আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি মণ্ডপে কমানো হয়েছে আলোকসজ্জা সহ অবকাঠামোগত সাজসজ্জা। অনেকটা প্রথা ও ধর্মীয় আচার মেনে চলাটাই এবারের পূজার আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে।
২০ নভেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে পূজা। ২৪ নভেম্বর বিজয়া দশমীতে শেষ হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর মাগুরা জেলায় মোট ৯৪টি মণ্ডপে কাত্যায়নী পূজা হচ্ছে।
শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামের নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রমের সঞ্জয় নন্দ দাস জানান, করোনার জন্য এবার ভিড় কমাতে মেলা করতে দেয়া হয়নি।
নতুন বাজার এলাকার ছানা বাবুর বটতলা মণ্ডপের প্রতিমা শিল্পী উজ্জ্বল কুমার গুরু জানান, এবার প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা কম। ডিজাইনের ভিন্নতা নেই। নেই বিশেষ কিছু প্রদর্শনের। তাই সাদামাটা প্রতিমা করা হয়েছে।
নতুন বাজার পূজা মণ্ডপের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় ঘোষ বলেন, ‘প্রতিবছর এ উৎসব উপলক্ষে দেশ বিদেশ থেকে মানুষ আসে। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের আত্মীয় স্বজনদের পূজা দেখতে আসাতে মানা করছি।’
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেড কুণ্ডু বলেন, ‘প্রশাসন ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাত নয়টার মধ্যে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, অন্যবারের মতো আলোকসজ্জা ও গান বাজনা সীমিত আকারের পরিবেশনের জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন নিউজবাংলাকে জানান, ‘প্রতি বছরের মতো নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশের টহল নিয়মিত থাকবে। সেই সাথে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়, সে বিষয়েও তৎপর থাকবে পুলিশ।’